সচরাচর জিজ্ঞাসা

১. কিভাবে জানা যায় যে কোন এলাকায় সাধারন ভূমি ব্যবহার অনুমতি আদেশ দেয়া হয় আর কোথায় টি আই চুক্তি ৭৫(১)/খ (টি আই এক্ট (১)/(২)) নীতি অনুসরন করা হয়?

উত্তর: যদি কোন এলাকার ভূমি ব্যবহারের মানদন্ড ১৯৫৯ সালের প্রধান পরিকল্পনার সাথে মিলে যায় তাহলে সরাসরি ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। অন্যদিকে প্রধান পরিকল্পনার সাথে যে কোন ধরনের পার্থক্য অথবা অমিল থাকলে তা টি আই চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়।

২. উত্তর: যদি কোন এলাকার ভূমি ব্যবহারের মানদন্ড ১৯৫৯ সালের প্রধান পরিকল্পনার সাথে মিলে যায় তাহলে সরাসরি ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। অন্যদিকে প্রধান পরিকল্পনার সাথে যে কোন ধরনের পার্থক্য অথবা অমিল থাকলে তা টি আই চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়।

সাধারনত ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ৬ তলা উচ্চতার জন্য সরকারকে কোন ফি-ই দিতে হবেনা । রেসিডেনসিয়াল ভবন ৬ তলার অধিক উচ্চতার জন্য ফি প্রযোজ্য : ৪০০ টাকা । ৬ – এর অধিক উচ্চতাসম্পন্ন বানিয্যিক ভবনের জন্য ৪০০ টাকা । বানিয্যিক , শিল্পকলকারখানার জন্য ৬ তলার অধিক উচ্চতাসম্পন্ন ভবনের জন্য ৫০০ টাকা । যাই হোক , যখন ভবনের উচ্চতা ৬ তলার বেশি হয় সেই অনুপাতে ফি – এর ধরনও পরিবর্তিত হতে থাকে ।

  • ছাড়পত্র সার্টিফিকেটের প্রাধান্য পায় নিচের প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী :
  • পরিবেশ পরিদপ্তর
  • ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরন কর্তৃপক্ষ (ডেসা)
  • পানি এবং পয়নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (WASA)
  • তিতাস গ্যাস
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (DMP) ট্রাফিক
  • ঢাকা সিটি কর্পোরেশন
  • বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ (CAAB)
৩. ভূমি ব্যবহারের অনুমতি পেতে কতদিন লাগে ?

উত্তর: ভূমি ব্যবহারের অনুমতি পেতে প্রায় ৩ সপ্তাহের মত সময় লাগে ।

৪. যদি কেউ ব্যক্তিগত কোম্পানী থেকে প্লট ক্রয় করে , তাহলেও কি রাজউকের কোন ভূমি ব্যবহার শর্ত আছে ?

উত্তর: যদি ব্যক্তিগত কোম্পানীটির রাজউকের ভূমি ব্যবহার অনুমোদন থাকে তাহলে আর প্রয়োজন নেই , কারন পুরো প্রকল্পের অনুমোদন তার আগেই রয়েছে ।

৫. রাজউক প্লটের জন্য কি ভূমি ব্যবহার অনুমতি পরিকল্পনার অনুমোদন প্রয়োজন?

উত্তর: রাজউক প্লটের জন্য আর কোন ভূমি ব্যবহার অনুমতির প্রয়োজন নেই । শুধুমাত্র পরিকল্পনাটি রাজউক এর অনুমোদিত বিভাগ হতে সত্যায়িত করতে হবে ।

৬. আবাসিক প্লটে কি একটি বানিজ্যিক অথবা অনাবাসিক ভবনের নকশার অনুমোদন সম্ভব ? এ ব্যাপারে কোন আইন আছে কি ?

উত্তর: আবাসিক প্লটের উপর বানিজ্যিক অথবা অনাবাসিক ভবনের নকশার অনুমোদন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পার্থক্য হয় এটা নির্ভর করে নিকটবর্তী এলাকার ভূমি ব্যবহারের ধরনের উপর । যদি এ ধরনের সরকারী পরিবর্তনে সরকারী গেজেট থাকে তাহলে এটা তৎক্ষনাত করা হয় । অন্যথায় এটা শহর উন্নয়ন চুক্তির মাধ্যমে করতে হবে ।

৭. একটি নকশার অনুমোদনের জন্য কি কি দলিল প্রয়োজন হয় ?

নকশা প্রাধিকারের জন্য নিম্ন লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় :

  • নকশা প্রাধিকারের জন্য নিম্ন লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় :
  • দলিল
  • অবিকল কার্বন রশিদ (DCR)
  • ভূমি ভাড়া রশিদ
  • পরিব্যক্তি (মিউটেশন)
  • খশড়া প্রকাশনা ফরম (ড্রাফট পাবলিকেশন ফরম)
  • পরিকল্পনার ৭ কপি (৬ তলা পর্যন্ত ভবনের জন্য)
  • যদি ভবনটি ৬ তলার বেশী হয় , একটি কাঠামোগত নকশার প্রয়োজন হয় এবং ২ নং প্রশ্নের উত্তরের বর্নিত ৯ টি প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয় ।
৮. একটি নকশার অনুমোদনের জন্য কত সময় লাগে ?

উত্তর: এটা রাজউকের অনুমোদন বিভাগ দ্বারা করা হয় । রাজউকের অনুমোদন বিভাগ এ ব্যাপারে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ছাড়পত্র দিতে বাধ্য । এটা তাদের সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়ে থাকে ।

৯. অবৈধ / অনুমোদিত ভবনের ব্যাপারে রাজউক কি উদ্যোগ নিয়ে থাকে ? এই অভিযোগগুলো কিভাবে সমাধান করা হয় ?

উত্তর: যদি একটি পরিকল্পনা বাতিল হয় তাহলে এর মালিক 2C কমিটির আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারে । কমিটি আবারো তার পরিকল্পনা পরীক্ষা করবে । যদি তাদের কাছে যথাযথ মনে হয় , তারা অনুমোদন করবে । যাহোক তারা এটা বাতিলও করতে পারে ।

১০. যখন একটি পরিকল্পনা বাতিল হয় তখন তা অনুমোদনের ব্যপারে কি ধরনের আইন আছে ?

উত্তর: যদি একটি পরিকল্পনা বাতিল হয় তাহলে এর মালিক BC কমিটির আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারে । কমিটি আবারো তার পরিকল্পনা পরীক্ষা করবে । যদি তাদের কাছে যথাযথ মনে হয় , তারা অনুমোদন করবে । যাহোক তারা এটা বাতিলও করতে পারে ।

১১. পূর্বানুমতি ছাড়া নির্মিত কোন ভবনের নকশা অনুমদনের ব্যপারে কোন আইন আছে কি ?

উত্তর: হ্যা । ১৯৮৭ সালে এমন একটি আইন পাশ করা হয় । এই আইনে বলা হয়েছে , যদি কোন ভবন রাজউকের নীতি অনুযায়ী নির্মান করা হয়েছে কিন্তু রাজউকের অনুমতি নেয়া হয়নি । কিন্তু ভবনের মালিককে এজন্য সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা (বেশিও হতে পারে) জরিমানাসহ দশগুন বেশি ফি প্রদান করতে হবে ।