নির্দেশনা:
যে কোন দলিলের মাধ্যমে ফ্ল্যাট/প্লট/জমি ক্রয়ের পর কাজ শেষ হয়ে যায় না। ক্রয়ের পরে/মালিকানা অর্জন করার পর কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তা না হলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। ক্রয়ের আগে যেমন কিছু করণীয় আছে তেমনি জমি কেনার পর করণীয় গুলো হল:
ক) ফ্ল্যাট/প্লট/জমির পরিমাপ করে চৌহদ্দি বুঝে নেয়া
খ) ফ্ল্যাট/প্লট/জমির দখল প্রতিষ্ঠা
গ) দলিল সংগ্রহ করা
নামজারী আবেদন ফি:
আবেদন জমা দেয়ার সময় কোন ফি প্রয়োজন হয় না। আবেদনটি রাজউক কর্তৃক যাচাই বাছাই করার পর নির্ধারিত ফি পরিশোধের জন্য সিস্টেমের মাধ্যমে নোটিফিকেশন দিবে। তারপর নামজারী ফি বাবদ ১০,০০০/= (দশ হাজার) টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট সহ পরিশোধ করতে হবে।
আম-মোক্তারনামা দলিল কি
আম-মোক্তারনামা যেটাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিও বলা হয়ে থাকে। আম-মোক্তার নামা হল কোন এক দরকারে প্রয়োজনে আইনি ভাবে কারোকে সম্পত্তি দেখাশুনা করার দায়িত্ব দেওয়া, ভোগদখল বা বেচা কেনা করার জন্য পাওয়ার দেওয়া অথবা নিজের পক্ষে অন্য কাউকে ক্ষমতা প্রদান করাকে আম-মোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বলা হয়।
Ø আম-মোক্তার নামা /power of Attorney
· নিয়োগের ফি বাবদ কাঠা প্রতি টা : ৩০০০ * ২.৫ = ৭৫০০/- (ভ্যাট নেই )
· উন্নয়ন ফি কাঠা প্রতি ৩০ হাজার হারে টা : (৩০০০০ * ২.৫)= ৭৫০০০/- (ভ্যাট নেই )
[ এখানে কাঠা=২.৫ উদাহরণ সরূপ দেওয়া হয়েছে। ]
হস্তান্তরযোগ্য দলিল এক ধরনের আর্থিক হাতিয়ার বা ঋণপত্র যা আইনানুগভাবে একজনের নিকট থেকে অন্যজনের নিকট হস্তান্তর করা যায় এবং ধারক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওই দলিলে লিখিত সম্পত্তিও সরল বিশ্বাসে দলিলগ্রহীতার অধিকারে চলে যায়। শুধু হস্তান্তর দ্বারা এ সকল দলিল যেহেতু বিক্রয়, পরিশোধ কিংবা সেগুলির মালিকানা স্থানান্তর করা যায় তাই দলিল আদেশ দ্বারা অথবা পৃষ্ঠাঙ্কনের মাধ্যমে বাহক দ্বারা এগুলি পরিশোধ্য।
ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন জারির মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য দলিলসমূহকে পরিচিতি এবং একইসঙ্গে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। উল্লিখিত আইনানুযায়ী অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল এবং চেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল। হস্তান্তরযোগ্য দলিলসমূহের বৈশিষ্ট্য সমরূপ হলেও এগুলির মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল অবশ্যই তার প্রস্ত্ততকারী কর্তৃক লিখিত ও স্বাক্ষরিত হতে হবে। দলিলে বর্ণিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিঃশর্তভাবে তার বাহককে অথবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বা তার আদিষ্ট কোন ব্যক্তিকে চাহিবামাত্র অথবা নির্দিষ্ট তারিখে কিংবা ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোন তারিখে পরিশোধের জন্য প্রস্ত্ততকারী অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকে। বাহককে পরিশোধ্য হলে সকল হস্তান্তরযোগ্য দলিল শুধু অর্পণ দ্বারা হস্তান্তরযোগ্য এবং আদেশ দ্বারা পরিশোধ্য হলে পৃষ্ঠাঙ্কন ও অর্পণ দ্বারা হস্তান্তর করা যায়। নগদায়ন করার সময় অনুসরণীয় ভিন্ন ভিন্ন নিয়মাচারের ফলেও বিভিন্ন হস্তান্তরযোগ্য দলিলের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কিছু হস্তান্তরযোগ্য দলিলে সীলমোহর করতে হয় এবং কিছু কিছু দলিলে সীলমোহর প্রয়োজন হয় না। হস্তান্তরযোগ্য দলিল হলেও চেকের মতো অঙ্গীকার চিঠাসমূহ রেখাঙ্কিত করা যায় না। আবার কিছু কিছু হস্তান্তরযোগ্য দলিলে স্বীকৃতির প্রয়োজন হয় এবং কিছু দলিলে তা দরকার হয় না।
টাকার পরিমাণ (Amount of Money) :
যোগ্য ঋণ দলিলে নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ অংকে ৬ কমায় উল্লেখ থাকে।
৭. প্রাপাকের নাম (Name of Payee) :
এরূপ দলিলে প্রাপকের নাম উল্লেখ থাকে। কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে আদেষ্টা 'নির্জা' শব্দ লিখতে পারেন। অঙ্গীকার পত্রের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারদাতা কার নিকট অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার নাম উল্লেখ করতে হয়।
৮. মেয়াদ (Maturity):
বিনিময় বিল ও অঙ্গীকারপত্র সাধারণতঃ বিভিন্ন মেয়াদের হয় এবং দলিলে তা লেখা থাকে। এসব দলিল চাহিবামাত্র পরিশোধ্য ও হতে পারে। চেক চাহিবামাত্র পরিশোধ্য হয়ে থাকে।
৯. উপস্থাপন (Presentation) :
হস্তান্তরযোগ্য বা দলিলের অর্থ আদায়ের জন্য ধারককে মেয়াদান্তে উপস্থাপন করতে হয়। মেয়াদী বিনিময় বিল অনিষ্টের নিকট প্রথমে স্বীকৃতির জন্য এবং মেয়াদান্তে পরিশোধের জন্য উপস্থাপন করা হ্যা তেকের অর্থ সপ্তাহের জন্য ব্যাংকে এবং অধীকার পত্রের ক্ষেত্রে মেয়াদান্তে প্রতিশ্রুতিদাতার নিকট উপস্থাপন করতে হয়।
১০. ঋণের প্রমাণ (Proof of Debt) :
সকল প্রকার হস্তান্তরযোগ্য দলিল ১৮৮১ সালের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় বলে আদালতে ঋণের দলিল হিসাবে গৃহীত হয়।
সম্পত্তি ক্রেতারা অবশ্যই বিভিন্ন নো-আপত্তি শংসাপত্র (এনওসি) সম্পর্কে শুনতে পাবেন যেগুলি তাদের বাড়ি-কেনার ভ্রমণের সময় বিল্ডার / বিক্রেতাকে উত্পাদন করতে জিজ্ঞাসা করতে বা জিজ্ঞাসা করতে হবে। এনওসি হ'ল আইনী নথি যা সরকারী সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পত্তি সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে জারি করে। একটি এনওসি হ'ল একটি স্পষ্টতা যে কোনও চুক্তি / লেনদেন / ব্যবসা সংঘটিত হলে কোনও আইনি ঝামেলা উদয় হবে না।
এনওসি কখন জারি করা হয়?
উদাহরণস্বরূপ, কোনও নিয়োগকর্তা আপনার নতুন নিয়োগকর্তাকে বলার জন্য একটি এনওসি জারি করেন যে তারা আপনাকে অন্য ফার্মে যোগ দেওয়ার বা আপনার ভ্রমণের ভিসার জন্য আপত্তি করবে না। কোনও কর্মচারী একটি বৈধ কারণে তাদের বেতন হ্রাস করার বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই তা পরিষ্কার করতে একটি এনওসি জারি করতে পারেন। একইভাবে, বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়ার জন্যও এনওসি প্রয়োজন হতে পারে। কোনও সম্পত্তি ক্রেতা কর্তৃপক্ষ বা পূর্ববর্তী মালিকের কাছ থেকে এনওসি প্রয়োজন, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কোনও সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রশ্নে জড়িত কোনও আইনি জট বাঁধা না / আছে। সংক্ষেপে, আপনি কোনও প্রস্তাব দেওয়ার সময়, বা কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন করার সময়, বা কোনও লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার সময় একটি এনওসি চাওয়া বা জারি করা হয়।
কোনও আপত্তি কীভাবে পাবেন সনদপত্র?
কোনও কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান থেকে অ-আপত্তি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি চিঠি লিখতে হবে, আপনার (আবেদনকারীর) বিবরণ উল্লেখ করতে হবে এবং এনওসিটির প্রয়োজনের উদ্দেশ্যটি ব্যাখ্যা করতে হবে। সমস্ত সহায়ক নথি সরবরাহ করাও গুরুত্বপূর্ণ is
ব্যাংক থেকে কোন আপত্তি শংসাপত্র কি?
হোম loanণের জন্য আবেদনের সময় আপনি যেভাবে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন, প্রয়োজনীয় হোম loanণ বন্ধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করাও সমানভাবে প্রয়োজনীয়। অর্থাত্, আপনি যদি হোম loanণ নিয়ে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই accountণ অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এনওসি নিতে হবে। হোম loanণের জন্য এনওসি একটি আইনী দলিল, যা statesণগ্রহীতা সমস্ত loanণ ইএমআই প্রদান করেছে এবং অন্যান্য বকেয়া loanণের বকেয়া নিষ্পত্তি করেছে।
কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা স্থায়ীভাবে নির্দিষ্ট মূল্য কিংবা প্রতিশ্রুত মূল্য প্রদানের মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট নগদ অর্থ কিংবা উৎপন্ন দ্রব্যের নির্দিষ্ট অংশ বিশেষ প্রদানের মাধ্যমে, বা প্রতিশ্রুত সেবার বিনিময়ে কিংবা বিভিন্ন সময়ে বা নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর গ্রহণকারী কর্তৃক স্বীকৃত শর্তে হস্তান্তরকারী বরাবর প্রতিশ্রুত মূল্যবান বস্তু প্রদানের বিনিময়ে হস্তান্তরকারীর স্থাবর সম্পত্তি ভোগ করার অধিকার হস্তান্তরকে লীজ বা ইজারা বলে।
ভূমির লিজ পত্র দলিল
মৌজা- কালিকাপুর
জমির পরিমান- ৩৩ (তেত্রিশ) শতাংশ
মূল্য- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা
মেয়াদ- ০৩ (তিন) বছর
প্রথম পক্ষের নাম- মোঃ রহিম উদ্দিন, পিতাঃ মৃত রমজান আলী, মাতাঃ মৃত নুরজাহান বেগম, জন্ম তারিখঃ ১/৯/১৯৮১ ইং, জাতীয় পরিচয় পত্র- 39220963948302, ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ কৃষিকার্য্য, গ্রামঃ কালিকাপুর, পোঃ দেওয়ানগঞ্জ, উপজেলাঃ দেওয়ানগঞ্জ, জেলাঃ জামালপুর৷
দ্বিতীয় পক্ষের নাম- মোঃ জামাল বেপারী, পিতাঃ মৃত কেতাব আলী, মাতাঃ মৃত ছালেহা বেগম, জন্ম তারিখঃ ৭/৩/১৯৬৮ ইং, জাতীয় পরিচয় পত্র- 39220963948368, ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ কৃষিকার্য্য, গ্রামঃ কালিকাপুর, পোঃ দেওয়ানগঞ্জ, উপজেলাঃ দেওয়ানগঞ্জ, জেলাঃ জামালপুর৷
পরম করণাময় মহান সৃষ্টিকর্তার নামে ভূমি লীজ নামা চুক্তিপত্র দলিলের আইনানুগ বয়ান লেখা শুরু করিলাম৷ জেলাঃ জামালপুর, উপজেলাঃ দেওয়ানগঞ্জ এলাকাধীন মৌজাঃ কালিকাপুর মধ্যে আর এস- ২৯০ নং খতিয়ানে আর এস- ৭৬১ নং দাগে বাদশা আলী নামে ৪০ শতাংশ জমি রেকর্ডভূক্ত থাকা অবস্থা তাহার নিকট হইতে আমি বিগত ইংরেজি ৬/১২/১৯৯৯ তারিখে একখন্ড কবলা পত্র দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ জমি খরিদ পূর্বক প্রাপ্ত হইয়া স্বত্ববান মালিক ও দখলকার আছি৷
আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য (কিংবা যদি পুকুর হয়ে থাকে তাতে মৎস্য চাষ করার জন্য ইত্যাদি কারনে লীজ প্রদান করা হয়) আমি প্রথম পক্ষের নিকট প্রস্তাব করিলে, আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজনে আপনি দ্বিতীয় পক্ষের প্রস্তাবে রাজি হইয়া নিম্ন লিখিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় আপনি দ্বিতীয় পক্ষের নিকট হইতে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা গ্রহণ করিয়া আমার স্বত্ব দখলীয় ৩৩ শতাংশ জমি অদ্য ২০/০৫/২০২২ ইং তারিখ হইতে আগামী তিন বৎসর মেয়াদে আপনার নিকট লীজ প্রদান করিয়া দখলাদি বুঝাইয়া দিয়া স্বীকার বা অঙ্গীকার করিতেছি যে,
উক্ত জমি আপনি দ্বিতীয় পক্ষের নিকট লীজ থাকা কালিন আমি প্রথম পক্ষ অন্য কোথাও বিক্রয় বা হস্তান্তর করিতে পারিব না এমনকি আমি বা আমার কোন ওয়ারিশ কেহ কোন প্রকার দাবি দাওয়া করিতে পারিবে না৷ যদি কেহ দাবি করি বা কাহারো দ্বারা করাই তাহা আইনত অগ্রাহ্য হইবে ৷ মেয়াদ শেষে আপনি দ্বিতীয় পক্ষের দেওয়া সাকূল্য টাকা ফেরৎ প্রদান করিলে জমির সমস্ত দাবি দাওয়া ছাড়িয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন ৷ এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে আমি অত্র জমির লীজ চুক্তিপত্র দলিল লেখাইয়া সম্পাদন করিয়া দিলাম ৷